কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের নিয়ম ও খরচ

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে অসংখ্য মানুষ চাকরির জন্য কানাডায় যায়। প্রতিবছর কানাডায় অসংখ্য বাঙালি শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। এবং কানাডায় শ্রমিকদের বেতন অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।  তাই মানুষ অন্যান্য দেশকে বাদ দিয়ে বর্তমানে কানাডাকে বেছে নিচ্ছে তাদের প্রথম পছন্দ হিসেবে। এছাড়া কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আপনি যদি বছরের পর বছর সেখানে কাজ করেন তাহলে আপনি খুব সহজে নাগরিকত্ব পেয়ে যেতে পারেন। 

কিন্তু কানাডা যাওয়ার আগে বেশিরভাগ মানুষ বিভিন্ন এজেন্সির সাহায্য নিয়ে থাকে। কিছু কিছু এজেন্সি আছে যারা কানাডা জব ভিসার টাকা নিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে। তাই আপনাকে ভেবে চিন্তে এজেন্সি বেছে নিতে হবে। এবং অনেকেই জানে না কিভাবে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হয়, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন সময় লাগে। 

আজ এই সকল কিছুর উত্তর আপনাদেরকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো। তাই যারা কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তারা নিশ্চয়ই এই আর্টিকেল পুরোটা পড়বেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-

Table of Contents

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ছাড়া আপনি কানাডায় গিয়ে চাকরি করতে পারবেন না। কানাডায় এমন কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশ থেকে কানাডায় গিয়ে কাজ করতে হলে আপনার অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন হবে। বর্তমানে বিভিন্ন কানাডার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে। আর বিশেষ করে ২০২৪ সালে কানাডার বিভিন্ন কোম্পানি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অনেক মানুষ কানাডায় পাড়ি জমাচ্ছে চাকরির জন্য। 

বিভিন্ন চাকরির ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি কানাডার কোম্পানিগুলোর চাকরির বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। এই বিজ্ঞাপন গুলোতে আবেদন করলে তারা আপনার একটি পরীক্ষা নেবে। এবং আপনার যোগ্যতা যাচাই করবে। আপনি যদি যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে তারা আপনাকে চাকরির জন্য নিয়োগ দেবে। সরকার থেকে আপনাকে একটি এল এম আই এ দেওয়া হবে। এবং আপনাকে চাকরির একটি অফার লেটার দেবে। আর তখন কানাডা যাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।  

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করা খুবই সহজ। এবং আপনি খুব অল্প দিনেই কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আপনার হাতে পেয়ে যাবেন। চলুন এবার জেনে নেব কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে গেলে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরন 

টেম্পোরারি ওয়ার্ক পারমিট: 

অর্থাৎ আপনি কিছুদিনের জন্য শ্রমিক হিসেবে কানাডাতে কাজ করতে পারবেন। যেমন বিভিন্ন কোম্পানি কিছুদিনের জন্য চুক্তিতে বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে থাকে। আর এ জন্য টেম্পোরারি ভিসার প্রয়োজন হয়। 

ওপেন ওয়ার্ক পারমিট: 

ওপেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে আপনি যতদিন ইচ্ছা কানাডাতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এটার কোন সময়সীমা নেই।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্যাটাগরি 

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার কিছু ক্যাটাগরি আছে। অর্থাৎ এই ওয়ার্ড পারমিট ভিসার আন্ডারে কিছু কাজের ক্যাটাগরি উল্লেখ থাকে যেগুলো আপনি কানাডাতে গিয়ে করতে পারবেন। যেমন-

  • রেস্টুরেন্টে কাজ 
  • কৃষিকাজ 
  • কোম্পানির কাজ 
  • ক্লিনার 
  • ইলেকট্রিক্যাল কাজ 
  • মেকানিক্যাল কাজ 
  • কনস্ট্রাকশনের কাজ

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে কি কি কাগজপত্র লাগে 

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করার জন্য আপনার কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। শুধু কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেকোন ভিসা করার জন্যই নিজের পরিচয় পত্র এবং আরো বিভিন্ন ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। এ সকল ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করে যদি তারা মনে করে যে আপনাকে ভিসা দেওয়া যাবে তাহলেই আপনি ভিসা পাবেন। চলুন জেনে নিন কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে কি কি কাগজপত্র লাগে-

  • শিক্ষা সনদপত্র 
  • জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্র 
  • চাকরির অফার লেটার 
  • পাসপোর্ট। পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট 
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি 
  • মেডিকেল রিপোর্ট 
  • করোনার টিকার সনদপত্র 
  • এল এম আই এ কপি।
  • ভিসা আবেদন ফরম 
  • ভিসা আবেদন ফি পরিশোধের রশিদ
  • কানাডিয়ান ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট 
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার কিছু যোগ্যতা লাগবে। এই সকল যোগ্যতা না থাকলে আপনাকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেওয়া হবে না। যে কোন ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার বিশেষ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। চলুন জেনে নিন কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন-

  • আপনার বয়স অবশ্যই ৪৫ বছরের নিচে হতে হবে। 
  • কানাডা থেকে বৈধ চাকরির অফার লেটার এবং LMIA নম্বর লাগবে।
  • যে কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন সে কাজের মোটামুটি  অভিজ্ঞতা লাগবে।
  • ন্যূনতম তিন বছরের দক্ষতা থাকতে হবে।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন 

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে আগে আপনাকে আবেদন করতে হবে। এবং এই ভিসার আবেদন করার সময় আপনার যেই জিনিসটি সবচেয়ে দরকার হবে সেটি হল এলএমআইএ নম্বর। এই নম্বরটি আপনাকে কানাডিয়ান কোম্পানি বা সরকার থেকে প্রদান করা হবে। অর্থাৎ যে কোম্পানিতে আপনি নিয়োগ পেয়েছেন সেই কোম্পানি থেকেই আপনাকে দেওয়া হবে। এই নম্বরটি ভিসা আবেদন করার সময় দেখাতে হবে। তাহলে আপনার  কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। 

এরপর আপনাকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন পত্র নিয়ে সেটা পূরণ করতে হবে। এবং তা সাবমিট করতে হবে। ফরমটি আপনি অনলাইনেও পূরণ করতে পারবেন। যদি আপনার এমন কেউ পরিচয় থাকে যিনি আগে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিয়ে কানাডায় গিয়েছিল তাহলে তার থেকে সাহায্য নিতে পারেন। এবার আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের নিয়ম

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপনার সাথে রাখতে হবে। এবং সঠিক তথ্যগুলো দিতে হবে। তা না হলে আপনি সহজে ভিসা পাবেন না। সব তথ্য ঠিক থাকলে আপনার কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং হতে বেশিদিন সময় লাগবে না। চলুন এবার দেখে নিন কিভাবে ধাপে ধাপে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন-

  • প্রথমে কানাডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন https://www.canada.ca
  • এবার আপনার সামনে মেনু অপশন আসবে। মেনু অপশনে আপনি Immigration and Citizenship এমন একটি অপশন পাবেন। এবার এটাতে ক্লিক করুন। 
  • এবার আপনার অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। Create an account to apply online  or Sing in এ ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করুন। 
  • রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে আপনার ইমেইলে একটা কোড পাঠানো হবে। এই কোড দিয়ে আপনার ভেরিফিকেশন করুন। 
  • ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে Find an application form এই অপশনটিতে যান। এখানে আপনি সকল ধরনের ভিসা ফরমের অপশন দেখতে পাবেন। যেহেতু আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাই এখান থেকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফরম অপশনটি সিলেক্ট করুন। 
  • এবার আপনাকে আপনার তথ্য দিতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এখানে সাবমিট করতে হবে। খুব মনোযোগ সহকারে ফরমটি পূরণ করুন। 
  • আবেদন ফরম পূরণ হয়ে গেলে আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে। 
  • কি পরিশোধ শেষে আপনার আবেদন সম্পন্ন হবে।

আবেদন সম্পন্ন করার পর কি করতে হবে 

অনলাইনে ভিসা আবেদন সম্পন্ন করার পর আপনাকে বায়োমেট্রিক দিতে হবে। এটা একটি নতুন নিয়ম। কানাডা ভিসার জন্য বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলকভাবেই দিতে হয়।। আর এজন্য আপনাকে সরাসরি কানাডা ভিসা আবেদন কেন্দ্র ভিএফেস গ্লোবালের বায়োমেট্রিক শাখা ঢাকা-সিলেট বা চট্টগ্রাম অফিসে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে। 

এরপর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। ভিসা এপ্রুভ হয়ে গেলে আপনার ইমেইলে নোটিফিকেশন ভিসা এপ্রুভ হয়ে গেলে আপনার ইমেইলে ভিসা অ্যাপ্রুভাল লেটার পাঠানো হবে। সেই অ্যাপ্রুভাল লেটার নিয়ে বিএফএস গ্লোবালে জমা দিতে হবে। সাথে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। দশ দিন পর পাসপোর্ট এবং ভিসা আপনাকে ফেরত দেওয়া হবে।

কানাডা ভিসা আবেদন কেন্দ্র 

কানাডা যাওয়ার জন্য যে কোন বিচার আবেদন করতে আপনাকে কানাডা ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যেতে হবে। কানাডা ভিসা আবেদন কেন্দ্রের নাম হল বি এফ এস গ্লোবাল। এই ভিসা আবেদন কেন্দ্রের তিনটি শাখা আছে। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা সবগুলো শাখার ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছি-

কানাডা ভিসা আবেদন কেন্দ্র ঢাকা

৪ নং ফ্লোর, ডেল্টা লাইফ টাওয়ার, প্লট‌ ৩৭, রোড ৯০, নর্থ গুলশান এভিনিউ, গুলশান ২, ঢাকা ১২১২ বাংলাদেশ। 

সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্র ও শনিবার।

কানাডা ভিসা আবেদন কেন্দ্র চট্টগ্রাম

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, ৫ নং ফ্লোর, ১০২-১০৩ আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম বাংলাদেশ। 

সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্র ও শনিবার।

কানাডা ভিসা আবেদন কেন্দ্র সিলেট

মার্চেন্ট টাওয়ার, ৩ নং ফ্লোর, পূর্ব মিরাবাজার ৩১০০, সিলেট বাংলাদেশ। 

সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্র ও শনিবার।

VFS Global Helpline Number: (+88) 09606 777666 (+88) 09666 911384

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত 

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য মোট ৭ লক্ষ টাকার মত খরচ হয়। কারণ এখানে বেশ কিছু প্রসেসিং রয়েছে। যেমন ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করা, মেডিকেল রিপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, হোটেল বুকিং, বিমান টিকেট, এজেন্সির সাহায্য সবকিছু মিলিয়ে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। 

তবে টাকা খরচ করার আগে যাচাই-বাছাই করতে হবে। কারণ এখন অনেক এজেন্সি আছে যারা মানুষের সাথে প্রতারণা করে। এ সকল এজেন্সি গুলো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেওয়ার নাম করে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তাই কোন এজেন্সির সাহায্য নেওয়ার আগে খোঁজখবর নিয়ে নিবেন। 

  • কানাডা বেসরকারি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ- ৫ লাখ টাকা
  • কানাডা সরকারি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ ২ লক্ষ ৫০ হাজার 
  • কানাডা যেতে বিমান ভাড়া ১ লক্ষ ২০ হাজার 
  • কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফি ৫৫ হাজার 
  • কানাডা মেডিকেল টেস্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ৮ হাজার

কানাডা যেতে মেডিকেল চেকআপ করার নিয়ম 

কানাডা শ্রমিক ভিসা এর জন্য আবেদন করার আগে আপনার মেডিকেল চেকআপ করতে হবে। কানাডিয়ান এম্বাসি থেকেই মেডিকেল চেকআপ করতে বলা হয়ে থাকে। এবং একটি অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে এই চেকআপ করাতে হবে। 

এই মেডিকেল রিপোর্ট  VFS Global এ জমা দিতে হবে। তারপর ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে এটি কানাডা হাইকমিশন সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। ১৬ থেকে ২৬ দিনের মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট ফাইলটি প্রসেসিং করা হয় এবং চেক করা হয়। আপনার ইমেইলে মেডিকেল রিপোর্ট ফরমটি কানাডিয়ান হাইকমিশন থেকে পাঠানো হবে। মেডিকেল চেকআপ করানোর জন্য কানাডা বাংলাদেশের তিনটি মেডিকেল সেন্টারকে অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো হলো-

  • ডক্টর ওয়াহাব মেডিকেল সেন্টার 
  • গ্রিন ক্রিসেন্ট হেলথ সেন্টার 
  • আইওএম মাইগ্রেশন হেল্প অ্যাসেসমেন্ট ক্লিনিক 

আপনি শুধু এই তিনটি অনুমোদন পাওয়া মেডিকেল থেকেই মেডিকেল করতে পারবেন। অন্য মেডিকেল থেকে করলে সেই রিপোর্ট গ্রহণ করা হবে না।

কানাডা যেতে মেডিকেল চেকআপ খরচ

যেকোনো ভিসাতেই কানাডা যাওয়ার আগে আপনাকে মেডিকেল চেকআপ করতে হবে। আর এই মেডিকেল চেকআপ করানোর জন্য কানাডিয়ান এম্বাসি তিনটি হাসপাতাল বরাদ্দ করে দিয়েছে। এই তিনটি হাসপাতালে মেডিকেল চেকআপ করানোর খরচ ভিন্ন ভিন্ন রকম। এই চেকআপ ফি গুলো কানাডা সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। জেনে নিন কোন হাসপাতালে ফি কত-

মেডিকেল সেন্টারযোগাযোগ
ডক্টর ওয়াহাব মেডিকেল সেন্টার wahabmedicalঠিকানা: হাউস-০৩, রোড-১২, বারিধারা, ঢাকা-১২১২।যোগাযোগ: ০২-৯৮৪৭৫৫৩, ৯৮৪৩৪৩৯।
গ্রীন ক্রিসেন্ট হেলথ সার্ভিস greencrescentmedicalbdঠিকানা: ৬০ পার্ক রোড, বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোন, ঢাকা-১২১২।যোগাযোগ: ০২-৫৮৮১৭৩৩৫, ৯৮৬২৩৮৪।
আইওএম মাইগ্রেশন হেলথ অ্যাসেসমেন্ট ক্লিনিক bangladesh.iom.int/migration-health-assessment-center-bangladeshঠিকানা: ১৩/এ, গ্রাউন্ড ফ্লোর, রোড-১৩৬, গুলশান-০১, ঢাকা-১২১২।

কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের উপায় কি 

কানাডায় তাই ভাবে বসবাস করতে হলে আপনাকে একটি উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে। এমন কারণ দেখাতে হবে যে আপনি থাকলে কানাডা সরকার ও দেশ উপকৃত হবে। তা না হলে আপনাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। এখন অনেক মানুষ কানাডা চাকরি সূত্রে গিয়ে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেয়। আপনি স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়ে গেলে আপনার পরিবারকে নিয়ে তাদেরকেও স্থায়ীভাবে রাখার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসে আপনি অনেকগুলো সুযোগ পাবেন। যেমন-

  • যে কোন চিকিৎসা সরকারিভাবে করাতে পারবেন। এতে আপনার কোন টাকা খরচ হবে।
  • ভোট দিতে পারবেন। 
  • রাজনৈতিক যেকোনো দলে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। 
  • যেকোনো জায়গায় চাকরির আবেদন করতে। 
  • পরিবারকে স্থায়ীভাবে রাখার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর 

কানাডা ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি কোনটি? 

কানাডা ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি হল VFS Global

কানাডা শ্রমিক ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে? 

কানাডা শ্রমিক ভিসা বা কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ সপ্তাহের মতো। কিন্তু যদি উপযুক্ত কারণ না থাকে তাহলে আপনার কানাডা ভিসা প্রসেসিং টাইম অনেকদিন লেগে যাবে। এমনকি আপনি ভিসা নাও পেতে পারেন।

কানাডা ভিসা পাওয়ার নিয়ম

কানাডা ভিসা পাওয়া খুব একটা কঠিন ব্যাপার না। আপনাকে কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এবং আপনার কানাডা যাওয়ার অবশ্যই উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে। তা না হলে আপনি ভিসা পাবেন না। সঠিকভাবে তথ্য দিলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি কানাডা যাওয়ার ভিসা পেয়ে যাবেন। 

কানাডা যেতে কত টাকা লাগে? 

ওয়ার্ক পারমিট বিষয়ে সরকারি ভাবে গেলে আপনার ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত লাগবে। আর আপনি যদি বেসরকারিভাবে যান তাহলে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। 

কানাডার মুদ্রার নাম কি?

ডলার।

সবশেষে,

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার নিয়ম ও খরচ এবং যাবতীয় সকল তথ্য তুলে ধরেছি। আশা করি আপনি উপকৃত হয়েছেন। বর্তমানে কানাডা অনেক শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে। তাই আপনি যদি বিদেশে চাকরির জন্য চেষ্টা করতে চান তবে কানাডাকে বেছে নিতে পারেন এবং কানাডা জব ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Read More: মালয়েশিয়া ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত ২০২৪

1 thought on “কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের নিয়ম ও খরচ”

  1. Pingback: জমির পুরাতন দলিল বের করার নিয়ম  - Jene-Nin

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top